The news is by your side.

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নিরাপত্তা শঙ্কা

0 98

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার র্যাম্পগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।পুরো এই উড়ালসড়ক জুড়ে উপরে কেউ গাড়ি থামাচ্ছে কিনা বা কোনোধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে কিনা; এসব বিষয় তদারকির জন্য বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহলের কোনও ব্যবস্থা নেই। সম্প্রতি এই পথে ঘটেছে ডাকাতির ঘটনাও। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই পথের যাত্রীরা।

২ সেপ্টেম্বর ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যান চলাচল শুরুর দেড় মাসের মধ্যেই নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ঘটলো ডাকাতির মতো ঘটনা। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয় একটি মামলা। তারপরই মাঠে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথাতেও উঠে আসে নিরাপত্তার বিষয়গুলো। এখনই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে অপরাধের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ব্যবহারকারীরা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা বলছেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের সুফল পাচ্ছে নগরবাসী। চলাচলরত যানবাহন যেকোনও সময় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপর বিকল হয়ে যেতে পারে। এজন্য গাড়িগুলো সরাতে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে? এছাড়া রাত-দিন চলাচলরত গাড়িগুলোর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ কিংবা পুলিশি টহল না থাকায় অপরাধীরাও এর সুযোগ নিচ্ছে। এতে করে আতঙ্ক নিয়েই গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীদের।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, চলতি বছরের ১০ অক্টোবর উত্তরার একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে একজন ব্যবসায়ী বাসায় ফেরার পথে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেন। টোল দেওয়ার পর তার গাড়ির চাকায় সমস্যা হওয়ার কারণে কিছুটা ধীর গতিতে এক্সপ্রেসওয়ে অতিক্রম করছিল। হঠাৎই তার প্রাইভেটকারকে চাপা দিয়ে মেরুন রঙের আরেকটি প্রাইভেট কার থেকে র্যাব পরিচয়ে গাড়ি থেকে দুজনকে এবং ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে যাওয়া ডাকাতরা। পরবর্তী সময়ে তাদের ৩০০ ফিটে ফেলে রেখে যায় ডাকাতরা এবং ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

তারা আরও জানিয়েছেন, গাড়িটিকে চাপা দেওয়ার পর ডাকাতরা নেমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেয়। তাৎক্ষণিকতায় ভুক্তভোগী বোঝার কোনও সুযোগ পাননি তারা প্রকৃতপক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নাকি ভুয়া। অপরাধীরা সাধারণত এসব নির্জন এবং পুলিশি টহল থাকে না এসব এলাকাকেই টার্গেট করে থাকে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপরে পুলিশি টহল কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়টি জানতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতারকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস এর মাধ্যমে পরিচয় দিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তার কাছ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.