কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তার ৩ জন তারা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞেসাবাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই মৃত্যুর সঙ্গে ভরতীয় কেউ জড়িত নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে। ভারতীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তাকে (আনোয়ারুল আজিম) পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খুনের মোটিভ এখনো জানা যায়নি। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছু বলতে পারছে না ভারতীয় পুলিশ।
১৯ মে আনোয়ারুল আজীমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বলেছিলেন, ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এরপর ১৬ মে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ১৯ মে ডিবি কার্যালয়েও যান আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, তিন দিন ধরে আমার বাবাকে ফোনে পাচ্ছি না। তার মোবাইল ফোনটি মাঝে মাঝে খোলা পাই আবার মাঝে মাঝে বন্ধ পাই। পরে এই বিষয়ে আমি ডিবি প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে বলেছেন, বিষয়টি তিনি দেখছেন। পরে আজকে আমি ওনার কার্যালয়ে আসি।
তিনি আমাদের সহযোগিতা করছেন। বাবাকে ফোনে না পাওয়ার কারণেই মূলত আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। আমি নিজেও ভারতে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাব।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গত ১৬ মে সকালের দিকে এমপি আনারের অবস্থান ছিল বিহারের মোজাফ্ফরাবাদ। সেখান থেকে পিএস রউফ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনে কল করা হয়। তবে ওই ফোন কল প্রকৃতপক্ষে এমপি আনার করেছিলেন কি না তা নিয়ে নতুন করে ধূম্রজাল ছিল।