জ্বালানি সাশ্রয়ে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেশের সব ব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী বছরের জুন সময়ে বিদ্যুতে ২৫ শতাংশ এবং জ্বালানিতে ২০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। এমনকি এই তথ্য ব্যাংকের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া সাশ্রয়ের টাকা অন্য কোনো কাজে লাগানো যাবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পেট্রল, ডিজেল, অকটেন, গ্যাস, লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দ করা অর্থের ১০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। আর আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কমাতে হবে আরও ১০ শতাংশ খরচ। তাতে জ্বালানি বাবদ আগামী এক বছরে ব্যাংকগুলোকে ২০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, এ দুই খাতে খরচ কমানোসংক্রান্ত তথ্য ও দলিলপত্র ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে এ–সংক্রান্ত তথ্য ও দলিলপত্র দেখতে চাইলে তা সরবরাহ করতে হবে।
এ ছাড়া ব্যাংকগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে, তা বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনেও প্রকাশ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।