এফএসবি কি প্রিগোজিনকে হত্যার সাহস দেখাবে?
প্রিগোজিনকে হত্যা করতে এফএসবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে: ইউক্রেন
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেছেন, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবিকে তাকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে কিরিলো বুদানভ দাবি করেন, প্রিগোজিনকে হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এফএসবিকে। তবে তারা এই কাজে সফল হতে পারবে কিনা তা ভবিষ্যতে দেখা যাবে।
বুদানভ বলেন, দ্রুত এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে বলে মনে করেন না তিনি। তিনি বলেন, সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন কারার জন্য তারা (এফএসবি) সময় নেবে। এর মধ্য দিয়ে একটি বড় প্রশ্ন সামনে এসেছে। এফএসবি কি এই কাজে সফল হবে; তারা কি প্রিগোজিনকে হত্যার সাহস দেখাবে?
শনিবারের বিদ্রোহের জেরে যেসব অভিযোগ প্রিগোজিন ও তার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল, সেগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রিগোজিনের ভাগ্যে কী আছে, সেটা অবশ্য এখনো জানা যাচ্ছে না।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ক্রেমলিন ও প্রিগোজিনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির পর প্রিগোজিন বেলারুশে গেছেন। তবে তার বাহিনীর সদস্যরা রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীতে যোগ দেবেন, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাব খারিজ করেছেন প্রিগোজিন।
ক্রেমলিন বলছে, নিয়মিত বাহিনীতে যোগ না দেওয়ায় ওয়াগনার যোদ্ধাদের আর অর্থ দেওয়া হবে না। তারা আর ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেবেন না। ফলে ওয়াগনার যোদ্ধারা এখন কী করবেন, সেটাও স্পষ্ট নয়।