একমাসের ব্যবধানে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার বেড়েছে। গত এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে।
এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। তার মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে। কৃষিতে ৮ দশমিক ২৫, শিল্প খাতে ৭ দশমিক ৩৬ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ