ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চ ভেঙে পড়ায় ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এতো নেতা কেনো? নেতা উৎপাদনের এতো বড় কারখানা আমাদের দরকার নাই। স্টেজভর্তি নেতা থাকে, আমাদের স্মার্ট কর্মী দরকার।
তিনি বলেন, স্টেজ ভেঙে পড়েছে, এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে আমি বলবো, এইযে নেতাদের মঞ্চে ওঠা, এতো নেতা আমাদের দরকার নাই। যে কোনো মঞ্চে গেলে সামনের লোকের থেকে মঞ্চে লোক বেশি। কেন? এতো নেতা কেন?
এর আগে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সাবেক নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মিলনমেলার আয়োজন করে সংগঠনটি। এই আয়োজনে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রলীগ নেতারা ওবায়দুল কাদেরকে জড়িয়ে ধরলে তিনি বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পান।
তিনি বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে আমরা ছাত্রলীগ করতে গিয়ে আহত হয়েছিলাম, রক্তাক্ত হয়েছিল অনেকেই, গুরুতর আহত হয়েছে অনেকেই। আজ তো এটা স্টেজ ভেঙে পড়েছে, এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
এর আগে বিকাল ৩টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে র্যালি পূর্ব অনুষ্ঠান শুরু হয়। গত ৪ জানুয়ারি উপমহাদেশের বৃহৎ এই ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শাখার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সমবেত হন অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও এই র্যালিতে অংশ নেন।
এ সময় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
পরে দলীয় সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।