অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর রাজধানীতে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। শনিবার (১০ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে ঘরোয়া এই কর্মসূচির জন্য দলটিকে মিলনায়তনের বাইরে জড়ো না হওয়াসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
বিপ্লব কুমার সরকার জানান, লিখিতভাবে কোন কিছু না জানানোয় শর্তের বিষয়টি আসেনি। লিখিত অনুমতি হলে শর্তের বিষয়টি থাকত। যেহেতু লিখিতভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি তাই শর্তের কোন প্রশ্নই ওঠে না। তবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও আলেমদের মুক্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশ করছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি নিয়ে তারা সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করেছিল ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল জামায়াত।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তিন শর্তে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। প্রথমত কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না এবং মিলনায়তনের ভেতরেই সমাবেশ করতে হবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার, দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
এর আগেও ২৯ মে সমাবেশ ও মিছিলে সহযোগিতা চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তবে কর্মদিবসে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আবেদনটি নাকচ করে দেয় ডিএমপি।