ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন- আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এক চীন নীতি মেনে চলা অব্যাহত রাখবে এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থানকে বুঝবে এবং সমর্থন করবে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকাস্থ চীন দূতাবাস বিবৃতিটি পাঠায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ান সফর করেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ চীন। তারই আঁচ পাওয়া গেল চীনা রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিতে।
চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে জিমিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ভালো প্রতিবেশী, বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার। সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার মতো মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে উভয় দেশ সবসময় একে অপরকে বোঝে ও সমর্থন করে। ‘এক চীন’ নীতির প্রতি ঢাকার দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি সন্তুষ্টি জানায় চীন।
তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এক চীন নীতি মেনে চলা অব্যাহত রাখবে এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থানকে বুঝবে এবং সমর্থন করবে। আর এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য চীনের সঙ্গে কাজ করবে।
বিবৃতিতে জিমিং আরও বলেন, তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার চীনের তাইওয়ানে সফর করেছেন ন্যান্সি পেলোসি। এটি এক চীন নীতি এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ তিনটি ইশতেহারের গুরুতর লঙ্ঘন।
তাইওয়ানে পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। প্রতিক্রিয়াও দেখাতে শুরু করেছে দেশটি। ইতোমধ্যে দ্বীপটি থেকে ফল ও মাছ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে সামরিক মহড়া যা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।