ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড, ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিট ও ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের সামরিক প্রতিনিধিরা হাওয়াইয়ের হনলুলুতে মিলিটারি মেরিটাইম কনসালটেটিভ এগ্রিমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনার জন্য চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে হাওয়াই দ্বীপে একাধিক বৈঠকে বসেছেন মার্কিন ও চীনের সামরিক কর্মকর্তারা। দুই দেশ কীভাবে আরও নিরাপদে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা নিয়েই কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের জন্য মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুই নেতা গত নভেম্বরের সাক্ষাৎ করেছিলেন। তখনই পুনরায় সরাসরি সামরিক আলোচনা শুরু করতে সম্মত হন তারা।
এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, উভয় দেশের কর্মকর্তারা গত কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করেছেন। তারা সমুদ্র ও আকাশপথের নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার প্রকাশিত একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে উভয় পক্ষই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র এবং আকাশ নিরাপত্তার বিষয়ে অকপট ও গঠনমূলক মতামত দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে চীন নৌ চলাচল ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতার নামে তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টার দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করেছে।
মিলিটারি মেরিটাইম কনসালটেটিভ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএমসিএ) ওয়ার্কিং গ্রুপ নামে পরিচিত আলোচনাটি ৩ ও ৪ এপ্রিল হনুলুলুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২১ সালের পর এই ধরনের প্রথম বৈঠক এটি।
বাইডেন ও শির মধ্যে নভেম্বরের বৈঠকের আগে তাইওয়ান থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক কার্যকলাপসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
অক্টোবরে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছিল, চীনা সামরিক বিমান ২০২১ সাল থেকে প্রায় ২০০ বার মার্কিন বিমানের কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ বা বেপরোয়া কৌশল চালিয়েছে।