প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঋণের আরও ১০ কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ডলার ঋণের ৭৫ শতাংশ অর্থ বা ১৫ কোটি ডলার বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ফেরত দিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা আরও ১০ কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে। এখন শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলারের ঋণের মধ্যে ১৫ কোটি ডলার আমরা পেয়েছি। বাকি ৫ কোটি ডলার যথাসময়ে ফেরত দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় ২০২১ সালে ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু যথাসময়ে ওই ঋণ ফেরত দিতে পারেনি দেশটি। পরে কয়েক দফা সময় চেয়েছে তারা। উপায় না থাকায় কয়েক দফা সময় দিয়েছে বাংলাদেশও। সবশেষ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ওই বছরের ৩০ অক্টোবর। বাকি ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় নভেম্বরে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট বা লাইবর যোগ করে দেড় শতাংশ সুদ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে সেই সুদ নিয়মিত পরিশোধ করছে শ্রীলঙ্কা।