উরফি জাভেদ, অদ্ভূত ‘ফ্যাশন সেন্স’ তাঁকে অনন্য পরিচিতি দিয়েছে। বোল্ড স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসেন উরফি। কারণ জীবনটা নিজের শর্তে বাঁচেন উরফি। তবে উরফির মেয়েবেলা মোটেই এত্তটা মসৃণ ছিল না। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে উরফি। ছোট বয়সে বাবার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন এই সাহসী কন্যা।
ছেলেবেলায় মারাত্মক ট্রমার মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছেন এই সোশ্যাল মিডিয়া স্টার, বাবার হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতেন উরফি, তাঁর মা ও বোনেরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন উরফি। ‘ডার্টি’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অতীতের অন্ধকার দিক নিয়ে মুখ খুলেছেন উরফি।
মেয়েবেলায় উরফির জীবনের ত্রাস ছিল তাঁর বাবা। লখনউয়ের রক্ষণশীল পরিবারে জন্মানোটাই অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল উরফির কাছে। তাঁর কথায়, ‘বাবা আমাদেরকে প্রচণ্ড মারধর করত। আমার মা-কেও মারত, আর গালিগালাজ করাটা তো রোজকার ঘটনা ছিল। কেউ প্রতিদিন তোমাকে বে* বলবে, এই ভাবনা তোমাকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েকবার আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম’।
বিগ বস ওটিটি তারকা জানান, বাড়ি থেকে বাইরে বেরনোর অনুমতি ছিল না তাঁর, সেই কারণে সময় কাটাতে টেলিভিশনে নজর রাখতেন উরফি। উরফি জানান, ‘ছোটবেলায় অর্থাভাব আমার সঙ্গী ছিল। সেইসময় হাতে পয়সা থাকত না। তখন থেকে আমার মনে হত কোনও পুরুষের পিছনে নয়,মেয়েদের উচিত টাকার পিছনে ছোটা’।
নিজেকে কোনওদিন গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখতে চাননি উরফি। শরীর নিয়ে কোনও ছুৎমার্গ নেই তাঁর। তাঁর বোল্ড ফ্যাশন স্টেটমেন্ট দেখলে রক্ষণশীলদের চোখ কপালে উঠে ঠিকই কিন্তু তাতে ‘কুছ পরোয়া নেই’ উরফি। তাঁর সাফ বার্তা, ‘আমার শরীর, আমার চয়েজ’।
এর আগেও নিজের অতীতের কথা বলতে গিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন উরফি। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মাত্র ১১ বছর বয়সে তাঁর ছবি অ্যাডাল্ট সাইটে পোস্ট করা হয়েছিল। উরফি জানিয়েছিলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে খুব কটাক্ষ করত। পর্নস্টার বলেও আমাকে চূড়ান্ত অপমান করা হত..’।