https://www.windy.com/-Satellite-satellite?satellite,16.973,86.484,3,m:eByaiL2
এসেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। উপকূল থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে । ঝড়ের ব্যাস ৪০০ কিলোমিটার হিসেব করলে ইতোমধ্যে দেশের উপকূলে পৌঁছে গেছে ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ। এর প্রভাবে সারা দেশে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে সিত্রাং ছিল ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, আবহাওয়া সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী এটি এগিয়ে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, এখন আছে ৩৯৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, আছে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে, আছে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত বা আগামীকাল ভোর নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এবং উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে আগের মতোই সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
একইভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে এবং উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে আগের মতো ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।