আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই।
শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন, ইন্ডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করেছেন। তার ছেলে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা করে শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা করে। টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও বিএনপির টার্গেট। তারা শেখ হাসিনা নিশ্চিহ্ন করতে চায়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তরে জ্বালা ধরেছে।
তিনি বলেন, দেশ বাঁচাতে, মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্যই আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনা সরকার। তিনি নারী জাতির গর্ব। শেখ হাসিনা আছেন বলে বাবার সঙ্গে মায়ের নাম লেখা হয়। প্রসাশনসহ সর্বত্র নারীরা আছেন। এটি শেখ হাসিনার অবদান।
এ সময় ওবায়দুল কাদের মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকা ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশর রূপকার ও আওয়ামী লীগের সাহসের ঠিকানা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের বিদেশে ছিলেন বলেই বেঁচে গেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বেঁচে না থাকলে আজ দেশের অবস্থা কী হতো? এতো উন্নয়ন অগ্রগতি কখনও হতো না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। লোডশেডিং থেকে নিস্তার পেতে শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। ২টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনের মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জবাবে নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি। পরে ফুল দিয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এদিন সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিচিল নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতির সংখ্যাও। সম্মেলনকে ঘিরে পুরো উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে। শাহবাগ চত্বর থেকে মৎস্যভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট চত্বরে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পদচারণে মুখরিত।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে সম্মেলনে। এই দুই পদের বিপরীতে প্রায় ৪০ জন তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই দুই পদে আজ সম্মেলন থেকে নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা।