উজবেকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ঢাকায় উজবেকিস্তানের একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ সহজ করতে উভয়দেশের মধ্যে আকাশ পথ চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন মাত্র সাড়ে চারঘন্টায় ঢাকা থেকে উজবেকিস্তান যাওয়া যাবে। এখন অনেক ঘুড়ে প্রায় ১২ ঘন্টা জার্নি করে সেখানে যেতে হয়।
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ”থার্ড ইন্টারগভার্মেন্টাল কমিশন মিটিং অন ট্রেড এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড উজবেকিস্তান” বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উজবেকিস্তান বরাবরই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছে, আগামীতের এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ডাবল টেক্সেশন পদ্ধতি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। এ বিষয়ে উজবেকিস্তান সরকার পদক্ষে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, উজবেকিস্তান থেকে সার আমদানি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, উজবেকিস্তান বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করবে। চলতি বছরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাধা সমুহ দুর করার জন্য একটি জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপ গঠন করা হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে উজবেকিস্তানে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মিটিং উভয় দেশে মধ্যে বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিষয়, টেক্সটাইল এবং কটন সেক্টর, এগ্রো ফুড এন্ড ফ্রুইটস সেক্টর, ফার্মাসিটিকেল সেক্টর, মিউচ্যুয়াল ট্রেড বেরিযার রিমুভ, মিউচুয়াল এ্যাট্রাকশন অফ ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয় । মিটিং শেষে একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্ট ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ পক্ষে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি। উজবেকিস্তনের পক্ষে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন উজবেকিস্তনের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশেদ কাদজায়েভ।