ঈদে- শুরু থেকেই রায়হান রাফীর ‘তুফান’র সঙ্গে আলোচনায় আছে রাশিদ পলাশের সিনেমা ‘ময়ূরাক্ষী’। মুক্তির আগের দিন ছবিটির হল সংখ্যা শুনে যে কেউ চমকে উঠবেন।
মাত্র দুটি হলে ছবিটি দেখা যাবে ১৭ জানুয়ারি থেকে। সিনেমার অন্যতম সদস্য চিত্রনাট্যকার গোলাম রাব্বানী ১৬ জুন জানান, রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টারে দেখা যাবে তাদের ছবিটি।
প্রথম সপ্তাহেই কেন মাত্র দুটি হল পেলো ছবিটি! স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা, মিরপুর ও রাজশাহী শাখায় কেন ছবিটি শো পাবে না? অথবা শহরে ও বন্দরে আরও একাধিক মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে, সেখানেও কেন ববির সিনেমাটি স্থান পায়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে, সংশ্লিষ্টরা অনেকটাই চুপ। এটুকু বলছেন, ‘হল সংকট। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে বলছেন সবাই।’
সীমান্ত সম্ভারের স্টারে ছবটির শো থাকছে দিনে দুটি। বেলা ৩টায় ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। অন্যদিকে যমুনা ব্লকবাস্টারের শো তালিকা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হল সংখ্যা দুটো হলেও ‘ময়ূরাক্ষী’ সাধারণ দর্শকের মন কাড়বে বলে আশা করছেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। তিনি জানান, ছবিটির গান, গল্প, অভিনয় সবকিছুই ভালো লাগবে দর্শকের।
১৫ জুন সন্ধ্যায় ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান সংশ্লিষ্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছবির নির্মাতা ছাড়াও নায়িকা ববি, নায়ক সুদীপ, চিত্রনাট্যকার গোলাম রাব্বানী, প্রযোজক চৌধুরী নিজাম নিশো, নির্বাহী প্রযোজক শাহাদাৎ হোসেন লিটন, অভিনেত্রী সাদিয়া মাহিসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতা থাকবেই। যে ছবিগুলো ঈদে মুক্তি পায় তার টেস্ট একেকটার একেক ধরনের। গল্পও আলাদা। দর্শকরা হলে গিয়ে ‘ময়ূরাক্ষী’দেখে আমার বিশ্বাস ভিন্ন টেস্ট পাবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি আমার ছবির ব্যাপারে প্রচণ্ড আশাবাদী। আমার টিম সদস্যরা অনেক হার্ড ওয়ার্ক করেছে। আমার বিশ্বাস ‘ময়ূরাক্ষী’ দেখে দর্শকদের ভালো লাগবে।’’
সিনেমায় ববির বিপরীতে আছেন সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার পোস্টার ও টিজার। টিজারে দেখা যায়, ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছে একটি বিমান, সাহায্য চাইছেন পাইলট। গণমাধ্যমে মুহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে উত্তেজনা। টিজারের শেষে লেখা দেখা যায়– ‘বেঈমান পাখির গল্প’ ।
সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারজানা ছবি, সমু চৌধুরী, দীপক সুমন, প্রণব ঘোষ, সাবিনা পুঁথি, ফারুক, মুহিন খান, মানিক শাহ, জুলফিকার চঞ্চল, রুদ্র হক, মিতুল, কস্তূরী চৌধুরী।
সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন জাহিদ নিরব। গান গেয়েছেন মুহিন খান, পূর্ণতা, তরসা, জাহিদ নিরব ও শাকিলা সাকি, নাদিম ভুঁইয়া। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন চৌধুরী নিজাম নিশো।