দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানিতে আর কোনো বাধা থাকছে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত অনুমতিতে উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরে ১০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেওয়া হয়।
বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি সংক্রান্ত সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪-এর ২৫ (৩৬) (গ) উপ-অনুচ্ছেদের শর্ত প্রতিপালনপূর্বক বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সাফটা ভুক্ত দেশ হতে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্য নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করা হয়।
জটিলতা কেটে যাওয়ায় দেশে ‘পাঠান’ সিনেমা আমদানি হচ্ছে। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন ভাষার শীর্ষ সিনেমাগুলো আমদানি করা হবে বলে জানালেন অনন্য মামুন। বাংলাদেশি এই নির্মাতাই কাট অ্যান্ড কাট এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে পাঠান সিনেমা আমদানির জন্য আবেদন করেন।
অনন্য মামুন বললেন, ‘আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ঈদের পরে পাঠান আসবে। যেহেতু সেন্সরে জমা দিতে হবে আর আমরা সে পথে হাঁটছি। সেন্সর করাবো, এরপর মুক্তি দেব। এছাড়াও সালমান খানের সিনেমা সহ বেশ কিছু সিনেমা আনার পরিকল্পনা করেছি। যেহেতু শর্ত সাপেক্ষে হিন্দি সিনেমা আমদানি কোনো বাধা নেই, সেহেতু আমরা ধাপে ধাপে আমাদের কাজ শুরু করছি।’
যে সব শর্তে দেশের প্রেক্ষাগৃহে উপমহাদেশের ছবি মুক্তির অনুমতি পেল:
(ক) বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকগণ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন।
(খ) উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র বাংলা সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ০২ (দুই) বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে।
(গ) প্রথম বছর ১০(দশ)টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে।
(ঘ) আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে।
(ঙ) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আযহা ও দূর্গা পুজার সপ্তাহে এই আদেশ বলে আমদানীকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।
সরকারি অনুমতি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত দেশের সিনেমা হল মালিক সমিতি। স্বস্তি প্রকাশ করে সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, এখন আর আমদানিতে সিনেমা আসতে কোনো সরকারি জটিলতা নেই। চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা প্রদর্শক সমিতির পক্ষ অফিসিয়ালি ধন্যবাদজ্ঞাপন পত্র পাঠাবো।
দেশে হিন্দি সিনেমার আমদানিতে বেশ ক’বছর ধরেই সরব ভূমিকায় সিনেমা হল মালিক সমিতি। সর্বশেষ বলিউডের আলোচিত ছবি ‘পাঠান’ মুক্তির অনুমতি পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলন করে হিন্দি সিনেমা দেশে মুক্তির অনুমতি না পেলে হল বন্ধ করে দেয়ারও আল্টিমেটাম দেন তারা।