ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও রায়হান রাফি জুটির তুমুল আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’। ফার্স্ট লুক, টিজ এবং গান প্রকাশের পর সিনেমাটির সব কনটেন্ট এখন ট্রেন্ডিংয়ে! হল মালিকরাও মুখিয়ে রয়েছেন সর্বোচ্চ রেন্টালে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। ঠিক সেই মুহূর্তে আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ সিনেমা ঈদে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘জংলি’র নির্মাতা এম রাহিম জানায়, সিনেমাটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে না।
কারণ হিসেবে নির্মাতা এম রাহিম জানালেন সময়স্বল্পতার কথা। তিনি বললেন, ‘টানা শুটিং করেছি আমরা। একই সঙ্গে ভারতে চলছিল ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। শুটিংয়ের পাশাপাশি ডাবিংও চলছিল ঢাকায়। মে মাসে আউটডোরে শুটিংয়ের সময় প্রচণ্ড গরমে ইউনিটের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবু আমরা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেছি। সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শুটিং বন্ধ রাখতে হয় আমাদের। পুরো একটি সেট ঝড়ে ভেঙে যায়। প্রকৃতির ওপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। দর্শকদের যে সিনেমা আমরা উপহার দিতে চাই, সেই কোয়ালিটি অ্যাচিভ করা সম্ভব হবে না এই ঈদে। এই মানের সিনেমার সঙ্গে কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করাটা একেবারেই আনএথিক্যাল হবে।’
অনেকেই হয়তো ভাবছেন, তুফানের দাপটে ভয় পেয়ে সরে গেল কিনা ‘জংলি’! এমন প্রশ্নের উত্তরে রাহিমের অকপট জবাব, “তুফান আর জংলি এক জনরার সিনেমা নয়। তুফান আসবে– এটি জেনেবুঝেই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের মিউচুয়াল রেসপেক্ট আছে, ঘুরেফিরে তো একই টিম আমরা। ‘তুফান বনাম জংলি’ কখনোই আমরা সমর্থন করি না; বরং আমরা বিশ্বাস করি ‘তুফান ও জংলি’তে। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে দুটি ছবিরই ভালো ব্যবসা করতে পারা উচিত। তাহলেই ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করবে। আমাদের বাজার বড় হবে।” এমনকি দলবল নিয়ে তুফান দেখতে যাবেন বলে জানালেন রাহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা এক্সাইটেড তুফান নিয়ে। আমরা তুফান দেখতে হলে যাব। আমার বিশ্বাস, শাকিব ভাই, রাফি ভাইরাও আমাদের সিনেমা দেখতে হলে আসবেন।’
‘শান’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল এম রাহিমের। প্রথম ছবি মুক্তির দুই বছর পর দ্বিতীয় সিনেমা নির্মাণে নেমেছিলেন তিনি। মুক্তির জন্য ঈদের মতো বড় উৎসবকেই বেছে নিয়েছিলেন। ঘোষণা দিয়ে না আসার কারণে দর্শকের উদ্দেশে পরিচালক নিজ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, ‘দর্শকের কাছে বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জংলির জন্য। ঈদে না আসায় অনেকেই কষ্ট পাবেন। সবচেয়ে বেশি কষ্ট তো লেগেছে আমাদেরই। এতটুকু প্রতিশ্রুতি দিতে পারি, ঈদের পর পরই ভালো একটি ছবি নিয়ে হাজির হচ্ছি আমরা।’
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার