পবিত্র ঈদুল ফিতরে কমবেশি এক কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারেন। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করবেন প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, বেপরোয়া গতির কারণে ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি ঘটে। ঈদকে কেন্দ্র করে স্বল্প সময়ে অনেক বেশি মানুষ যাতায়াত করায় গণপরিবহনের ওপর চাপ বাড়ে। দূরের যাত্রায় মোটরসাইকেল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও অনেকেই মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যান। এ ছাড়া মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল, চালকদের বিরতিহীন গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতি দুর্ঘটনার বড় কারণ। ঈদের ছুটির সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও আইন প্রয়োগেও দুর্বলতা থাকে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নিলে ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ১৪ দিনে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩৭৬ জন। আহত হন অন্তত দেড় হাজার মানুষ।
প্রতিবারই ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেলে। এবার শুধু রাজধানী থেকে পাঁচ–ছয় লাখ মোটরসাইকেল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। তাঁদের শঙ্কা, মোটরসাইকেলের দূরপাল্লার যাত্রা সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়াতে পারে।
ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বরকতউল্লাহ খান বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন।