The news is by your side.

ই ইউ শরণার্থী নীতি: ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের সামনে বড় বাধা

0 109

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহির্সীমানায়ই নাকচ হতে পারে৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে৷

ইইউ-র অভিন্ন শরণার্থী নীতির রূপরেখার মূলমন্ত্র হলো, শরণার্থীদের প্রশ্নে সব সদস্য দেশ পরস্পরের সহায়তা করতে বাধ্য৷ সেই কাজ দুইভাবে করা যাবে৷ গ্রিস ও ইটালির মতো দেশে শরণার্থীর ঢল নামলে পোল্যান্ড বা সুইডেনের মতো অন্য সদস্য দেশ তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে৷ ফলে শরণার্থীদের আরও সুষম বণ্টন সম্ভব হবে৷ শরণার্থী গ্রহণ করতে না চাইলে কোনো দেশ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে৷ শরণার্থী প্রতি ২০,০০০ ইউরো ইইউ তহবিলে জমা করে দায়িত্ব পালন করতে পারে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশ৷

ইইউ দেশগুলির মধ্যে বোঝাপড়ার আরেকটি অংশ চরম বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানায় শরণার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করে সেখান থেকেই ‘কম সম্ভাবনার’ আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ অর্থাৎ যে সব শরণার্থী ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত দেশ থেকে আসছেন, অন্য কোনো ন্যায্য কারণ না থাকলে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ সুইডেন এই দুটি মৌলিক প্রস্তাবের মাধ্যমে ঐকমত্য সম্ভব করতে পেরেছে৷ বেলজিয়ামের শরণার্থীদের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিকোল ডে মোর একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশের নাগরিকদের আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতির সম্ভাবনা কম৷

ইউরোপকে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে প্রস্তুত করার এমন উদ্যোগের সমালোচনা করছে অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল৷ অক্সফ্যাম জানিয়েছে, ইইউ-র আশ্রয় প্রণালীর গভীর দুর্বলতা না কাটিয়ে শরণার্থীদের আগমনের পথে বাধা সৃষ্টি করার সংকেত দিচ্ছে এই রাষ্ট্রজোট৷ জার্মানির জোট সরকারের শরিক সবুজ দলের মধ্যেও এই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক অবশ্য ইইউ দেশগুলির মধ্যে বোঝাপড়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এমন আপোষ মীমাংসা মোটেই সহজ ছিল না৷ জার্মানির ফেডারেল সরকার একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বোঝাপড়া একেবারেই ভিন্ন হতো৷ বেয়ারবক আরো বলেন, জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ইউরোপীয় বহির্সীমানায় শরণার্থীদের আটক করে তাদের আবেদন বিবেচনার প্রস্তাবে সায় না দিলে অন্য সদস্য দেশগুলি শরণার্থীদের সুষম বণ্টনের প্রস্তাব মেনে নিতো না ৷

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.