কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজার টেকনাফ শামলাপুর শালখালী চেকপোস্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের নির্যাতনে আবদুল্লাহ (৩৫) নামে এক প্রবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন।
চেকপোস্টে ইয়াবা না পেয়ে বিজিবি সদস্যরা আবদুল্লাহকে আটকিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহতের পরিবার।
এ ঘটনায় বুধবার আহত আবদুল্লাহকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলা শামলাপুর শীলখালী বিজিবি চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার প্রবাসী টেকনাফ উপজেলা হাইউক খালী পাড়ার মৃত শফিউজ্জামানের পুত্র, এ ঘটনায় বিজিবির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দিতে একটি ভিডিও ধারন করে বলে জানান ঐ প্রবাসী।
ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ বলেন, কিছুদিন আগে মায়ের মৃত্যুর সাংবাদ শুনে মালেশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। তার দুই বউ রয়েছে। প্রথম বউ টেকনাফ ও ২য় বউ কুমিল্লা থাকে।
কুমিল্লা থেকে টেকনাফে এসেছিলেন মায়ের কবর জিয়ারত করতে। কবর জিয়ারত শেষে প্রথম বউ থেকে বিদায় নিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ থেকে নীলদরিয়া নামক বাস করে কক্সবাজার ফেরার পথে শীলখালী নামক বিজিবির চেকপোস্টে পৌছালে বিজিবির একজন সদস্য আমার দেহ তল্লাশি করে। কিছু না পেয়ে একটি গুপন কক্ষে নিয়ে উলঙ্গ করে তল্লাশি করে। এসময় বিজিবির সদস্যরা কিছু না পেয়ে তোর কাছে ইয়াবা আছে বলে আমাকে থাপ্পর মারে। স্যার আমার কাছে কিছু নেই বললেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। কিছুক্ষণ মারধরের পর একটি খালি জায়গায় নিয়ে ইয়াবা আছে বল প্রয়োগ করে মূলত্যাগ করান।
এতেও ইয়াবা না পেয়ে বিজিবির দুই সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে শালার ব্যাটা তোর কাছে ইয়াবা আছে বলে আবারো মারধর করেন। কিছুক্ষণ পর মুমূর্ষু আবস্থাতে আমাকে একটা গাড়িতে তুলে দেন। ঐ গাড়িটা আমাকে টার্মিনাল এসে পেলে দিয়ে চলে যায়।
কক্সবাজার টার্মিনাল মুমূর্ষু আবস্থাতে পড়ে থাকতে দেখেন শামসুল আলম শ্রাবণ নামের এক পথচারী।
পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐ পথচারী শামসুল আলম শ্রাবণ বলেন, তাকে উদ্ধার পর জানতে চাইলে আমাকে বলেন তাকে বিজিবি চেকপোস্ট ইয়াবা না পেয়ে মারধর করেছে। পরে আমি তার আবস্থা অবনতি দেখে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, নির্যার্তের বিষয়টি সত্য। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে চেকপোস্ট ঘটনায যারা ছিল তাদের বিজিবির সদর দপ্তরে আনা হয়েছে।