শনিবার সকালের দিকে গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের যে কয়েকটা স্থানে হামলা শুরু করে– তার মধ্যে ইহুদি সম্প্রদায়ের সুপারনোভা সংগীত স্থল অন্যতম। এখান থেকে ২৬০ জনের মরদেহ পেয়েছে উদ্ধারকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রকেট হামলার পর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয় তাদের ওপর।
অনলাইনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মরুভূমিতে অনেকে যে যার মতো ছুটছেন। রকেট হামলার পর বন্দুক নিয়ে এই মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াদের একজন তাল গিবলি সিএনএনকে বলেছেন, খোলা স্থান হওয়ায় আমরা কোথাও লুকানোর জায়গা পাচ্ছিলাম না। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যে যার মতো প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে জীবন বাঁচাতে পালাতে শুরু করে।
অরটেল নামের আরও একজন বলেন, ভোরের দিকে প্রথম সাইরেন বেজে উঠে। এটি রকেট হামলার সতর্কবার্তা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে গাজা উপত্যকা খুব একটা দূরে নয়। ফলে খুব সহজেই হামলা চালিয়ে ঢুকে পড়ে হামাস।
গিলি ইয়োসকোভিচ বিবিসিকে বলেছেন, আমি দৌঁড়ে একটি ছোট বাগানে লুকিয়ে যাই। তারা অনুষ্ঠানের কাছে যেয়ে গুলি চালাচ্ছিল। আমি দেখলাম চারদিকে মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু এসব দেখেও আমি চুপ ছিলাম। আমি কাঁদিনি, কিছুই করিনি।
হামলাকারীদের তাণ্ডব চালানোর ৩ ঘণ্টা পর ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতির টের পেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান বলেও জানান এই প্রত্যক্ষদর্শী।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চ্যালেন ১২-কে সাক্ষাৎকারে শুনিয়েছেন আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী। তার ভাষ্যমতে, ৪-৫ ঘণ্টা হরর মুভি চলছিল মনে হচ্ছে। আমরা পাগলের মতো ছোটাছুটি করছিলাম। সত্যিই উন্মাদের মতো।
শনিবার সকালে কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা উপত্যকার সীমানা অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। তারা স্থল, সাগর ও আকাশ পথে প্রবেশ করে ইসরায়েলি শহর, থানা দখল করে বিস্ময় ছড়ায়। একই সঙ্গে তারা কয়েক হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে। হামাসের পক্ষ থেকে সব ফিলিস্তিনি সংগঠন ও তাদের মিত্রকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি