ইসরায়েলে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতানিয়াহু। তিনি তৃতীবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
ইসরায়েলের ৭৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর দক্ষিণপন্থি সরকার গঠিত হতে চলেছে। এই জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন নেতানিয়াহু। তার দলই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য নেতানিয়াহুকে হাত মেলাতে হয়েছে অতি-দক্ষিণপন্থি রিলিজিয়াস জিওনিজম পার্টির প্রধান ইতামার বেন গভিরের সঙ্গে। গভিরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছেড়ে দিতে হয়েছে তাকে।
নেতানিয়াহুর জোটে আরও দুই শরিক আছে, তারাও কট্টর ডানপন্থি। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুকে একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তার মধ্যে নেতানিয়াহুকে জানাতে হতো, তিনি সরকার গঠন করছেন এবং কাদের সঙ্গে জোটে যাচ্ছেন। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নেতানিয়াহু সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শেষ করেছেন। তিনিই তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
দীর্ঘ আলোচনার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহু অতি-দক্ষিণপন্থি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি সময়সীমার মধ্যে আলোচনা শেষ করতে পেরেছেন। তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকা নেতানিয়াহুর সামনের পথ যথেষ্ট কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহুর জোটসঙ্গীরা কিছু ক্ষেত্রে কড়া নীতি নিয়ে চলার পক্ষে। সেই নীতি নিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে উত্তেজনাও বাড়বে। আলোচনার সময় জোটসঙ্গীরা দুইটি বিষয়ের ওপর খুবই জোর দিয়েছিল। পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ যাতে তাদের হাতে থাকে এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কর্তৃত্ব বাড়ানো।