ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক ডজন ‘কাতিউশা’ রকেট ছুড়েছে লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। গতকাল শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানো হয়। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট চালিয়েছে তারা।
এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলির আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন । এর আগেই সাইরেন বেজে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়টাতে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেই কেবল হামলা থামাবে তারা।
হিজবুল্লাহ এমন সময়ে এ হামলা চালাল, যখন দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তেহরান। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের হামলার মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎস বলেছেন, তাঁর দেশে যদি ইরানি ভূখণ্ড থেকে হামলা চালানো হয়, তাহলে জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানো হবে।
দক্ষিণ লেবানন থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেমি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে খারাপ হচ্ছে। পরের ধাপে কী হবে, তার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।’