জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরাইল-গাজার চলমান যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। শুক্রবার পাস হওয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২০টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪টি দেশ। আর ভোটদানে বিরত ছিল ৪৫টি দেশ।
গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব আনে জর্ডান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বিষয়টি জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, সাধারণ পরিষদে তোলা ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস ও নির্বিচার হামলাসহ’ সব সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দাও জানানো হয়। একই সঙ্গে বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা ও বাধাহীন ত্রাণ সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া, প্রস্তাবে চলমান সংঘাতের সময় জিম্মি বেসামরিক ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তা, সুস্থতা ও তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আহ্বানও জানানো হয়।
তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যুদ্ধবিরতির এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে জাতিসংঘের এই উদ্যোগকে ঘৃণ্য বলে অভিহিত করেছেন।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন- আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যুদ্ধবিরতির ঘৃণ্য আহ্বানকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছি। ইসরাইল হামাসকে নির্মূল করতে চায়, যেভাবে বিশ্ব নাৎসি এবং আইএসআইএসকে মোকাবিলা করেছিল।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর এক বক্তৃতায় জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজ এমন একটি দিন যা ‘কুখ্যাত’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করেছি, জাতিসংঘ বৈধতা বা প্রাসঙ্গিকতার আর সামান্য পরিমাণ অধিকারও রাখে না।