যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরাইলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা যেকোনো সময়ে হতে পারে। এক্ষেত্রে ইরান, ইসরাইলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপরই ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র ইসরাইলি ও মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ইরান সম্ভাব্য হামলার ক্ষেত্রে উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।
সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দেশটির বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর (আইআরজিসি) দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হন। সেই ঘটনার পর ইরান ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। তারপর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে ইরানের হামলা আশঙ্কায় ইসরায়েলে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেদের নাগরিক ও স্টাফদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করছে এসব দেশ। এর মধ্যে রয়েছে জেনারেটর এবং স্যাটেলাইট ফোনের মতো জরুরি সরবরাহের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ।
এদিকে বিবিসি জানায়, ইরানের হুমকির মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে ‘লৌহবেশিষ্ট’ মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার পর ইরান ‘গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণ’ করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করতে যাচ্ছি।’