ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যদি তেল আবিবের পক্ষ নেয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে তেহরান। একাধিক আরব দেশের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে এই বার্তা দিয়েছে তেহরান। সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলে হামলা হলে তেল আবিবের পাশে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন। এরপর ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কড়া বার্তা দেওয়া হলো।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহেই ইরান আরব দেশগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দিলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে তেহরান।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সে দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হয়। সেই হামলার পর থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও আইআরজিসি প্রধানসহ শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকেরা একাধিকবার ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে গত সপ্তাহের শেষ দিনে যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্যের মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, ইসরাইলের মাটিতে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান হামলা চালাতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলে এই হামলা হতে পারে। তবে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, তেহরান ইসরাইলে হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তার আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরাইলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন। এ ক্ষেত্রে ইসরাইলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান।
সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, ইসরাইলে ইরানি আক্রমণ অত্যাসন্ন। একই সঙ্গে তিনি ইরানকে ইসরাইলে আক্রমণ না করতে সতর্ক করে দিয়েছেন। এছাড়া ইসরাইলকে সম্ভাব্য ইরানি আক্রমণ থেকে রক্ষায় তৎপর হয়েছে হোয়াইট হাউস।