ইরানের ইসফাহান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
এদিকে ইরানের ফারস বার্তা সংস্থার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির কেন্দ্রীয় শহর ইসফাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানা যায়নি। ফলে ইরান ইসফাহান, শিরাজ ও তেহরানের ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক সাইট রয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর ইরান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে তিনশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এর কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। তবে হামলার ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।
এদিকে আগেই ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল যে, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে কঠিন জবাব দেয়া হবে। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইরানের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যেকোনো ধরনের আক্রমণের কড়া জবাব দেয়া হবে।
ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এয়ার ফোর্সের কমান্ডার বলেন, ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলা করতে রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪সহ আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রয়েছে। আমরা সবসময় প্রস্তুত।