পাকিস্তানের বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান পদে নিজের আইনজীবীকে মনোনীত করেছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা দলীয় প্রধানের পদে থাকার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে ইমরান খানকে। ফলে পিটিআই চেয়ারম্যানের পদে তিনি আর থাকতে পারছেন না।
পাকিস্তানের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দলের নতুন চেয়ারম্যান নির্ধারণ করতে হবে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই নেতা সিনেটর আলি জাফর জানিয়েছেন, দলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ইমরান খান অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসাবে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার গহর আলী খানকে মনোনীত করেছেন।
ইমরান খানের ওপর থেকে ‘অযোগ্য আদেশ’ আদালত তুলে নিলে তিনি আবার চেয়ারম্যান পদে ফেরত যাবেন বলে জানিয়েছেন জাফর।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, তোশাখানা কেস বা উপহার হিসেবে পাওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ইমরান খান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা দলীয় পদে থাকতে পারবেন না।
ইমরান খানের আইনজীবী শের আফজাল মারওয়াত মঙ্গলবার বলেছিলেন, আদালত তাকে আবার যোগ্য বলে ঘোষণা করলে তিনি আবার চেয়ারম্যানের পদে ফিরে যাবেন। তিনি বলেছেন, আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। সেখানে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে দলের নেতৃত্বের বিষয়টিও ছিল।
পিটিআই নেতা সিনেটর আলি জাফর বলেছেন, চেয়ারম্যান হিসাবে না থাকলেও দলের প্রধান নেতা হিসাবেই থাকবেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসাবে এমন একজনকে চাইছিলেন ইমরান খান, দলে যার স্থায়ী পদ নেই। দলের স্থায়ী চেয়ারম্যান ও নেতা হিসাবে ইমরান খানই থাকবেন। তাকে ছাড়া পিটিআই কিছুই নয়। পিটিআই হচ্ছে ইমরান খান ও ইমরান খান হচ্ছেন পিটিআই। কৌশলগত কারণে এটা করা হচ্ছে। আমরা এই কৌশল নিয়েছি, এটা আমাদের প্ল্যান-বি। বহুদিন ধরেই আমরা এজন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’