এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকা। পিটিআই চেয়ারম্যান তার সুখের সংসার তছনছ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইমরান খানের বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবির সাবেক স্বামী।
সোমবার জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা’ শোতে মানেকা বলেন, ‘আমাদের সাংসারিক জীবন ২৮ বছর ধরে ছিল এবং এবং আমরা অনেক সুখী ছিলাম। ইমরান খান সেই সংসার পীর-মুরিদির ছদ্মবেশে তা নষ্ট করে দিয়েছেন।’
মানেকা বলেন, ডিভোর্সের মাত্র দেড় মাস পর বুশরা ইমরান খানকে বিয়ে করেন (ওই সময় তিনি ইদ্দত পালন করছিলেন)। তিনি বা তার সন্তানরা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। এমনকি মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে প্রথমে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
খাওয়ার মানেকা জানিয়েছেন, ইমরান খান অনুমতি ছাড়াই তার বাড়িতে যেতেন এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। যদিও তিনি তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ পছন্দ করেননি।
একবারের ঘটনা স্মরণ করে বুশরা বিবির সাবেক স্বামী বলেন, ওই সময় তিনি তার বাড়ির কাজের লোকের সহায়তায় ইমরান খানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
ইমরান ও বুশরার বৈঠকের বিষয়ে খাওয়ার মানেকা বলেন, ইসলামাবাদে (পাকিস্তানের রাজধানী) পিটিআইয়ের বিক্ষোভের সময় তাদের (ইমরান ও বুশরা) দেখা হয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করা ও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিল।
মানেকা আরও জানান, তার মা ইমরান খানকে পছন্দ করতেন না এবং তিনি প্রায়ই তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করতেন। মা বলতেন, ‘ইমরান খান মোটেও সুবিধাজনক মানুষ না, তাকে বাড়িতে আসতে দিবে না,’ বলেন মানেক।
তিনি জানান, ইমরান ও বুশরা প্রায়ই রাতে ফোনে গোপনে কথা বলতেন। তাছাড়া অনুমতি ছাড়াই ইমরানের সঙ্গে দেখা করতেন বুশরা। বিয়ের মাত্র ৬ মাস আগে বুশরা তার থেকে আলাদা হয়ে পাঞ্জাবের পাকপত্তন শহরে তাদের বাড়িতে চলে যান। বার বার ডাকা সত্ত্বেও বুশরা তার কাছে ফিরতে রাজি হননি।
বুশরার সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে খাওয়ার মানেকা বলেন, একদিন তার ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ আসে, যাতে তাকে বুশরাকে তালাক দিতে বলা হয়। এর পর তিনি বুশরার কাছে গিয়ে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিন্তু বুশরা মাথা নিচু করে ছিলেন; তার (মানেকা) কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
বুশরার সাবেক স্বামী জানান, পরে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর ফারাহ গগির মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজপত্র পেয়েছিলেন তিনি।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ জুলফি বুখারি তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের তারিখ পরিবর্তনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেছিলেন। কারণ ওই সময় ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ হলে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশদ সাক্ষাৎকারে জানান খাওয়া মানেকা।