পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আগামীকাল শনিবার শুনানি হওয়া পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে। তাঁকে বিচারিক আদালতে হাজির হওয়ার সুযোগ দিতে আজ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারক আমের ফারুক আদেশ দেওয়ার সময় ইমরানকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে দায়রা আদালত ও রাজধানী পুলিশকে নির্দেশ দেন।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের করা এই মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার ইমরানকে গ্রেপ্তারের জন্য লাহোরের জামান পার্কে তাঁর বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। পরে ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সমর্থকেরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। ইমরানকে গ্রেপ্তার করার কোনো সুযোগ পুলিশকে দেননি সমর্থকেরা।
তোশাখানা মামলায় জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল চেয়ে বুধবার ইসলামাবাদ সেশন আদালতে আবেদন করে পিটিআই। পরদিন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক তা বাতিল করেন। পাশাপাশি তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৮ মার্চ আদালতে হাজির করতে বলেন।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আবেদনে তিনি বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিলের প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ‘তাঁর করা পিটিশনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত’ স্থগিত করার আরজি জানান, যাতে তিনি ১৮ মার্চ আদালতে হাজির হতে পারেন।
শুনানির সময় ইমরানের আইনজীবী খাজা হারিছ তাঁর মক্কেল (পিটিআই প্রধান) ১৮ মার্চ আদালতে হাজির হবেন বলে আশ্বাস দিয়ে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দেন।