২০২২ সালের মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান খানকে সরানোর কথা বলা হয়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইমরান খানের নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণে তার ক্ষমতাচ্যুতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ দুজন কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’ এসব তথ্য দিয়েছে।
বৈঠকে ডোনাল্ড লু আসাদ মজিদকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। আসাদ মজিদকে তিনি বলেন, ‘(ইউক্রেন যুদ্ধ) পাকিস্তানের অবস্থান কোনোভাবেই আমাদের কাছে নিরপেক্ষ বলে মনে হচ্ছে না।’
বৈঠকে আসাদ মজিদ ডোনাল্ড লুর কাছে জানতে চান, ‘পাকিস্তান ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এ কারণেই কী যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিক্রিয়া?’ এতে ডোনাল্ড লু নেতিবাচক জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘এটি মূলত ইমরান খানের মস্কো সফরের কারণেই হয়েছে।’
ডোনাল্ড লুর এমন হুমকির জবাবে আসাদ মজিদ খান জানতে চান, ইউক্রেন ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, তবে কেন ওয়াশিংটন ইমরান খানের রাশিয়া সফরের আগেই বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি।
জবাবে ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কারণ হিসেবে সামনে আনেন। তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটন চিন্তা করেছে যে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আগেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেনি এবং আমরা পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাকেই উপযুক্ত বলে মনে করেছি।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ ডনকে বলেন, ফাঁস হওয়া নথির বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এবং পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবালও কোনো মন্তব্য করেননি।