The news is by your side.

ইভিএম পারফেক্ট ও নির্ভযোগ্য মেশিন: জাফর ইকবাল

ইভিএম মেশিনে ম্যানিপুলেশন করা সম্ভব না

0 318

 

 

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হলে কারচুপি করার সুযোগ রয়েছে- বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলো ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অভিযোগের মুখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশসেরা প্রযুক্তিবিদদের ডেকে নিয়ে যন্ত্রটি দেখিয়েছে।

ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষকরা। তারা সেখানে গিয়ে ইভিএম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখেন। এমনকি এর গঠন পদ্ধতি, বিভিন্ন সার্কিট তারা খুলেও দেখেন

পরীক্ষা করে দেখে প্রযুক্তিবিদরা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি (ইভিএম) পারফেক্ট ও নির্ভযোগ্য মেশিন।’ একইসঙ্গে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইভিএম ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সকাল সোয়া ১০টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয় ইসি এবং প্রযুক্তিবিদ-শিক্ষকদের মধ্যে। সভায় ছিলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনার এবং শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মতিন সাদ আবদুল্লাহ, ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) পরিচালক মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন, সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। জাফর ইকবাল বলেন, ‘গতবার যখন (সংলাপে) এসেছিলাম, একজন বলেছিলেন- ইভিএম হাইটেক মেশিন। আমি বলেছিলাম, মোটেই হাইটেক নয়। এটা আমাদের ছাত্ররা বানিয়ে বিভিন্ন দেশে পুরস্কারও পেয়েছে। তাই মেশিনটা কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামনে উপস্থাপনের জন্য বলেছিলাম। ইসি সেই অনুরোধটি রেখেছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।’

জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমরা বৈঠকে ডেমোনেস্ট্রেশন দেখেছি পুরোটা। ভেতরের খুঁটিনাটিও জেনে নিয়েছি ওনারদের কাছ থেকে। আর একটা মেশিন ওনারা আমাদের জন্য খুলে রেখেছেন, যাতে আইসি লেবেল পর্যন্ত দেখতে পারি। এগুলো কীভাবে মাউন্ট করা হয়েছে। কেউ যদি এগুলো ম্যানিপুলেট করতে চায়, সেটা কতটা কঠিন হবে, সোজা হবে সে ধারণা করার জন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে কনভিন্সড হয়েছি যে, অত্যন্ত চমৎকার একটি মেশিন।’

জাফর ইকবাল বলেন, ‘এখানে ভোটিংটা অনেক নিখুঁতভাবে করা সম্ভব। একজন মানুষ অন্য মানুষের ভোট দেওয়ার বিষয়টা মোটামুটিভাবে অসম্ভব। কাজেই যারা এটা তৈরি করেছেন, আমি তাদের অভিনন্দন এবং আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

‘মেশিনটা মোটামুটি পারফেক্ট একটা মেশিন। আমাদের দেশের জন্য এটা অত্যন্ত সহজভাবে চালানো সম্ভব। খবরের কাগজে দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলো নতুন কমিশন তৈরিসহ তিনটা দাবির কথা জানিয়েছে। আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, আপনারা যদি নতুন কমিশন তৈরি করতে পারেন, তখনো এই ইভিএম মেশিনটা ব্যবহার করবেন। আপনাদেরই লাভ হবে।’

দেশের এই প্রযুক্তিবিদ আরও বলেন, ‘ম্যানিপুলেশন করার এখানে কোনো জায়গা নেই। ম্যানিপুলেশন করার জন্য যে লেভেলে যাওয়ার দরকার, সেই লেভেলে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব না। অপারেট করার শুরুতে এটা দেখানোর ব্যবস্থা আছে, যেখানে কী আছে, না আছে। এখন বিশ্বাস করবেন কি করবেন না, সেটা আপনাদের বিষয়’

বিএনপিসহ দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের অভিযোগ ইভিএমে এক প্রতীকে ভোট দিলে চলে যায় অন্য প্রতীকে- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, ‘এক মার্কার (প্রতীক) ভোট এক প্রার্থীর মার্কায় গিয়ে পড়বে, এটা এই মেশিন দ্বারা করা সম্ভব না। আমি সার্কিটগুলো খুলে দেখানোর জন্য বলেছিলাম। এটা ম্যালফাংশন করতেই পারে, ম্যালফাংশন করলে সেটা পরবর্তীতে অন্য মেশিন ব্যবহার করা যায়, কিন্তু ম্যানপুলেট করার কোনো সুযোগ নেই।’

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.