The news is by your side.

ইভিএমে ভোট হবে সর্বোচ্চ দেড়শ  আসনে:  ইসি 

৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার মতো সক্ষমতা নেই

0 156

 

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। মঙ্গলবার কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ আমরা কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ও পৌরসভা এবং ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। জাতীয় নির্বাচন অনেক দূরে। ফলে এ বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।

মো.  আলমগীর বলেন, আমাদের এখন যে ইভিএম আছে তাতে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৩০ আসনে ভালোভাবে ভোট করতে পারব। এর চেয়ে বেশি আসনে ইভিএমে ভোট করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, আমাদের ইভিএম ভারতের ইভিএমের চেয়ে অনেক আপডেট এবং মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। এটা অবিশ্বাস করার মতো না। ভারত যেভাবে অবিশ্বাস কাটিয়ে উঠেছে, আমরাও সেভাবে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আস্থার জায়গা ঠিক হয়ে গেলে ১০০ বা ২০০ অথবা ২৫০ আসনে ভোট করা সম্ভব। ৩০০ আসনেই যে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এছাড়া সব আসনে ইভিএমে ভোট করতে হলে প্রকল্প নিতে হবে। তারপর ইভিএম কেনা সম্ভব হবে। এখন ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার মতো সক্ষমতা আমাদের নেই।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম আছে। এগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কেননা, জাতীয় নির্বাচনে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি কেন্দ্রে তিনটি করে ভোটকক্ষের বিপরীতে ব্যাকআপসহ আরও প্রায় ২ লাখ মেশিনের প্রয়োজন। এছাড়া প্রশিক্ষিত জনবলও নেই।

এ ছাড়া দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে আগামী ৩১ অক্টোবর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১২ অক্টোবর প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর বেশিরভাগই ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে মতামত দেয়। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি সমমনা দল। ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে ৩০০ আসনেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার দাবি জানানো হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.