বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘তাদের (চীন) প্রভাব এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে এবং আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই, তা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
আজ সোমবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
হাস বলেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাধীনতা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সমৃদ্ধির প্রচারেও বিশ্বাস করে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমরা যখন সামনের দিকে এগোচ্ছি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রভাবে আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি যেন আমরা না হারাই।’
তিনি বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এই অঞ্চলে একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দিয়েছে। এটি একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটিকে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। কর্তৃত্ববাদী শক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়ে মৌলিক নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা করছে৷ আমাদের অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে এই সন্ধিক্ষণে আসতে হবে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস ও বিনা উস্কানিতে যে আগ্রাসন চালিয়েছে তাতে বিশ্ব জেগে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে যে আমরা যে আদর্শ চাই, শুধু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নয়, গোটা বিশ্বেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না। শীতল যুদ্ধ চাই না।’