‘অভিনয় পারে না’—বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় পাঁচ বছর কাটানোর পরও এসব কথা শুনতে হয় তাঁকে। নিজেকে প্রমাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন শ্রীদেবী-কন্যা। পাঁচ বছর পরও ‘স্বজনপ্রীতি’-র তকমা তাঁর গায়ে সেঁটে আছে। কিন্তু কিছুতেই সবার মনে জায়গা করে নিতে পারছেন না জাহ্নবী।
জাহ্নবী তাঁর ছোট্ট ফিল্মি ক্যারিয়ারে নানা ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘মিলি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’, ‘গুডলাক জেরি’তে বৈচিত্র্যময় চরিত্র করেছেন। মজার ব্যাপার ইনস্টাগ্রামে তাঁর গ্লামারাস ছবিতে নেট দুনিয়া মজলেও চলচ্চিত্রে তাঁকে বেশির ভাগ সময়ই গ্লামারহীন চরিত্রে দেখা গেছে। কিছুদিন আগেই আক্ষেপ করে জাহ্নবী বলেছিলেন, ইনস্টাগ্রামের ছবি দেখে কেউ যদি তাঁকে মূল্যায়ন করে, তবে সেটা হবে মস্ত বড় ভুল।
এই বলিউড নায়িকা বলেছেন, ‘ইতিবাচক সমালোচনাকে সব সময় সম্মান জানাই। কেউ যখন বলেন যে “মিলি”তে ভালো কাজ করেছি, তবে আরও উন্নতি করতে হবে, এ ধরনের সমালোচনা আমি খোলা মনে নিই। কিন্তু কারও কারও উদ্দেশ্য থাকে শুধু আমাকে আঘাত দেওয়া। তখন খুব কষ্ট হয়।’
জাহ্নবী আরও বলেছেন, ‘নিজের জীবনের লক্ষ্য বিষয়ে আমি খুব স্বচ্ছ। মায়ের (শ্রীদেবী) ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই। মোটেও এটা আমার উন্নাসিকতা নয়। বাবা-মা তথা দর্শককে প্রতিদানে কিছু দিতে চাই।’
জাহ্নবী বলেন, দর্শককে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই তাঁর আছে। তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমাকে ভালোবাসি। আমি যা করি তা ভালোই করি, তাই কোনো কিছুর জন্য আমি মোটেও ক্ষমাপ্রার্থী নই। এখনো নিজেকে আমি প্রস্তুত করছি।’
মুক্তির অপেক্ষায় আছে জাহ্নবীর একঝাঁক ছবি। এর মধ্যে আছে ‘দোস্তানা টু’। এ ছাড়া বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে তাঁকে ‘বাওয়াল’-এ দেখা যাবে। এ ছাড়া রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবিতে আসছেন তিনি।
- Design