The news is by your side.

 ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ মহিলাদের  প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে

0 147

চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ বেশ জনপ্রিয়। এই বিশেষ ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধিনিষেধ থাকে না। তাই তরুণ প্রজন্ম আরও অনেক বেশি এই ডায়েটের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করেই কাটাতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত।

পুষ্টিবিদদের মতে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের প্রকৃত অর্থ হল দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে উপোস করে থাকা। শরীরের চাহিদা বুঝে উপোসের সময়কাল ১০ থেকে ১৮ ঘণ্টা এমনকি, ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্নভোজন শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় পিছিয়ে যাওয়া, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া, চুল উঠে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হাজার সমস্যা দেখা যায় নিয়ম মেনে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং না করলে।

ইংল্যান্ডের নরউইচের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেন, এই প্রকার ডায়েট প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। গবেষকরা জ়েব্রাফিশের উপর পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৫ দিন টানা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের পরে স্ত্রী ও পুরুষ জ়েব্রাফিশদের ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর গুণগত মান কমে গিয়েছে। পরে তারা স্বাভাবিক ডায়েটে ফিরে এলেও ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মান ভাল হতে অনেকটা সময় লাগছে। গবেষকদের মতে, ১৫ দিন এই ডায়েট করলে স্তন্যপায়ীদেরও ক্ষেত্রেও একই রকম প্রভাব পড়বে, সেই বিষয় এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি গবেষকরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.