ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ইতালিতে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘর ছেড়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ।
শুক্রবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত দেড়দিনে দেশটিতে যে বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৬ মাসেও হয়নি। বৃষ্টির কারণে ২০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন শহরের বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট এবং হাজার হাজার একর কৃষিজমি ডুবে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের খবরও পাওয়া গেছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির রাভেনা শহর। শহরটির মেয়র মিশেল ডি পাসকেল জানান, বর্তমান পরিস্থিতি গত শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। স্থানীয়দের ব্যাপক আকারে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮০টি ভূমিধস হয়েছে। দমকলকর্মীরা লোকজনকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পাঠাতে সহযোগিতা করে।
এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে শুধু নদী নয়, খালগুলোও প্লাবিত হয়েছে। দেশটির সিভিল প্রটেকশন মিনিস্টার নেলো মুসুমেসি বলেন, ইতালির জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রূপ নিয়েছে। ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তিনি জানান, গত ৪০ বছরে কোনো অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
ইতালির এমন পরিস্থিতির পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন অনেকে। দেশটির জাতীয়ভাবে পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল বলে সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলেন অনেকে।