The news is by your side.

ইউরো থেকে রোনালদোর বিদায়, পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স

0 84

 

হয়তো রোনালদো, নয়তো এমবাপ্পে, একজনকে বিদায় নিতেই হতো। শেষ পর্যন্ত ইউরোর মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জার্মানির হামবুর্গে ইউরো ২০২৪-এর কোয়ার্টার ফাইনালে গোলশূন্য ম্যাচে টাইব্রেকারে পেনাল্টি শুটআউটে পর্তুগালকে ৩-৫ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স। জয়ের হাসি হেসেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথমার্ধে বল দখলে, পাসে এগিয়েছিল পর্তুগালই। যদিও গোলের সম্ভাবনা তৈরি করা কোনো আক্রমণ করতে পারেননি রোনালদো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বাঁর্নার্দো সিলভারা। প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে, রান্দাল কোলো মুয়ানি, গ্রিজমানরাও। ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ফলাফল নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে উসমান ডেম্বেলে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন। গোলরক্ষক উল্টো দিকে ঝাঁপ দেন। পর্তুগালের হয়ে প্রথম পেনাল্টি শট নেন রোনালদো। বাঁ দিকে নেওয়া তার শট ঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক। দ্বিতীয় শটে ফ্রান্সের গোল করেন ইউসুফ ফোফানা, পর্তুগালের বার্নার্দো সিলভা। তৃতীয় শটে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন জুলেস কোন্দে, পর্তুগালের হোয়াও ফেলিক্সের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

চতুর্থ শটে গোল করেন ফ্রান্সের ব্র্যাডলি বারকোলা, পর্তুগালের নুনো মেন্দেস। ফ্রান্স পঞ্চম শট মিস করলে সুযোগ ছিল পর্তুগালের। কিন্তু পিছিয়ে পড়া পর্তুগালকে ফেরার সুযোগ দেননি থিও হার্নান্দেজ। লক্ষ্যভেদ করেন তিনি, উল্লাসে ফেটে পড়ে ফরাসি শিবির। পর্তুগাল শিবির ডুবে হতাশায়।

এই ম্যাচটি হয়ে থাকল ইউরোতে রোনালদোর শেষ ম্যাচ। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডও তার নামের পাশে। তবে বিদায়টা সুখকর হলো না ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের। এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলে কোনো গোলের দেখা পাননি তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.