The news is by your side.

ইউরোপা লিগ: ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে শেষ ষোলোয় জুভেন্টাস

0 107

দুর্দান্ত খেলেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। শুধু একাই নয়, জুভেন্টাসের রক্ষণভাগ, মধ্যমাঠ আর আক্রমণ ভাগের সম্মিলিত আক্রমণে দিশাহারা ছিলো প্রতিপক্ষ নঁত। নব্বই মিনিটের লড়াইয়ে ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে ফরাসি ক্লাব নঁতে’কে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জুভেন্টাস। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।

এর আগে প্রথম লেগে ১-১ গোরে ড্র করায় দ্বিতীয় লেগটি ফলাফল নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়। নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও, নঁতের মাঠে দুর্দান্ত ছিল জুভেন্টাস।

নঁতের বিপক্ষে প্রথম লেগে অনেকটা নিষ্প্রভ ছিলেন দি মারিয়া। প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। সতীর্থরাও ম্যাচ বের করতে পারেননি।

তবে এ দিন জুভদের পরের ধাপে তোলার দায়িত্বটা যেন নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন দি মারিয়া। পছন্দের পজিশন ডান উইং ছেড়ে খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। তাঁর সামনে ছিলেন শুধু মোইস কিন। যদিও দি মারিয়ার খেলা দেখে মনে হয়েছে তিনিই দলের মূল স্ট্রাইকার।

নঁতের মাঠ স্তাদে দি লা বুজোয়ায় খেলা দেখতে আসা ৩৫ হাজার সমর্থককে পঞ্চম মিনিটেই স্তব্ধ করে দেন দি মারিয়া। স্বাগতিক সেন্টার ব্যাক জ্যা–চার্লস কাস্টেলেত্তোর ভুলে বল পেয়ে যান জুভেন্টাসের নিকোলো ফাজিওলি। পাস বাড়ান দি মারিয়া। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের মুখে ঢুকেই বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে যে গোলটি করেন, ফুটবলপ্রেমীরা তা অনেক দিন মনে রাখতে বাধ্য।

প্রথম গোলে নিকোলার অবদান থাকলেও দ্বিতীয় গোলটা শুধুই ডি মারিয়ার। ১৭ মিনিটে তার নেয়া শট রুখে দেন নঁত গোলরক্ষক লাফোঁ। বল আবার আসে দি মারিয়ার পায়ে। আর্জেন্টাইন তারকার নেয়া ফিরতি শট নিজেদের বক্সে হাত দিয়ে ঠেকান নঁত অধিনায়ক নিকোলাস পালোইস। লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি তাকে মাঠ ছাড়া করার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান ২-০ করেন দি মারিয়া। দশজনের নঁত কার্যত সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে পিএসজির হয়ে ফরাসি কাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.