ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সক্রিয় মদতকারী দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট চীন সফর করছেন। এই তিন দেশের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা পশ্চিমা বিশ্বে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে চীন নিজেকে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। অথচ রাশিয়ার সঙ্গে ‘সীমাহীন’ সম্পর্কের অঙ্গীকার চীনা নেতৃত্বকে ইউক্রেনের উপর হামলার নিন্দা করতে দেয়নি। শান্তির পূর্বশর্ত হিসেবে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারেরও ডাক দেয় নি চীন। উলটে যুদ্ধ চলাকালীন বেইজিং মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে পশ্চিমা বিশ্ব সন্দেহ করছে। চীন অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে। এমনই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বেইজিং সফরকে ঘিরে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি মঙ্গলবার চীনে পৌঁছেছেন।
ইউক্রেনের উপর হামলার পর রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশও পশ্চিমা বিশ্বের কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। তার আগেই অবশ্য হত্যা, নিপিড়নসহ একাধিক গুরুতর অপরাধের দায়ে লুকাশেঙ্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। ২০২০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নি। সোমবার ইইউ বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন সেই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে।
এমন অবস্থায় লুকাশেংকো মস্কো ও বেইজিং-এর দিকে আরও বেশি ঝুঁকছেন। রাশিয়ার উপর রাজনৈতিক ও আর্থিক নির্ভরতার পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক নিবিড় করতে চাইছে বেলারুশ। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লুকাশেংকো ইউক্রেন সংকট মেটাতে বেইজিং-এর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আজ বিশ্বের কোনো বিষয় চীনকে ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়। তিনি শি জিন পিং-কে ‘পুরানো বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখান।