ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া থেকে অন্তত ৫০টি ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার সকালে দেশটির ওপর রাশিয়া থেকে অন্তত ৫০টি ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। এর ফলে রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ এবং পানির সংকট তৈরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, সোমবার সকাল সাতটা থেকে রুশ বাহিনী থেমে থেমে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে শুরু করে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছে যে, মূলত ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে ৫০টির বেশি ক্রুজ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শীতের আগে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই হয়ত এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
শনিবার বন্দর নগরী সেভাস্টোপোলে ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করেছে ইউক্রেন, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন অভিযোগের জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিটালি ক্লিটসকো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, দেশটির জ্বালানি খাত লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
দেশটির জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দ্রুত পুনঃস্থাপন করার ‘সর্বোচ্চ’ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে দেশটির প্রকৌশলীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলার আগে দেশব্যাপী বিমান হামলার পূর্ববর্তী সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটির ক্রেমেনচাকে একটি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে হামলা চালানো হয়েছে। তবে প্রকল্পটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে তিনি কিছু বলেননি।
ইউক্রেনের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে কিয়েভ, দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা, জাপোরিশা এবং চেরকাসি অঞ্চলের একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও আজ হামলা হয়েছে।
তবে বিবিসি নিরপেক্ষভাবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।