রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠাতে পোল্যান্ডকে বাধা দেবে না জার্মানি। রোববার ফরাসি টেলিভিশন এলসিআইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল— পোল্যান্ডের কাছে থাকা তার দেশের তৈরি লেপার্ড-২ ব্যাটল ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে চাইলে বার্লিন বাধা দেবে কিনা? উত্তরে আনালেনা বেয়ারবক বলেন, এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রশ্ন করা হয়নি। তবে যদি জানতে চাওয়া হয় তা হলে বার্লিন এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
গত কিছুদিন ধরেই আলোচনার তুঙ্গে জার্মানির তৈরি লেপার্ড টু ট্যাংক। জার্মান আইন অনুযায়ী, অন্য কোনো দেশ এই ট্যাংকের মালিক হলেও তৃতীয় কোনো দেশে সরবরাহের ক্ষেত্রে নিতে হবে বার্লিন সরকারের অনুমোদন। তাইতো পোল্যান্ড তাদের বহরে থাকা ১৪টি লেপার্ড টু ট্যাংক ইউক্রেনকে দিতে চাইলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় জার্মানির সাথে চুক্তি।
একদিকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, আরেকদিকে ইউক্রেন ও ন্যাটো মিত্রদের চাপে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল জার্মানি। যা নিয়ে সরাসরি অসন্তোষ জানায় কিয়েভ। যৌথ বিবৃতিতে জার্মানির প্রতি অনুমোদনের অনুরোধ জানায়, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া। অবশেষে বরফ গললো।
প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের সাথে বৈঠকের পর বাধা না দেয়ার বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ আশ্বস্ত করেন।
এসব অস্ত্র পেলে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলোর পুনর্দখল নিতে পারবে বলছে ইউক্রেন। প্যারিসে সম্মেলনের পরে শোলজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে সব অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তাই করা হবে।’
একই সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখো বলেন, তিনি ইউক্রেনে লেক্লার্ক ট্যাংক পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। জার্মানি ও অন্যান্য মিত্র দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেন তিনি।
জার্মানির সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে রাজি হলে জার্মানি ট্যাংক পাঠানোর অনুমতি দেবে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমওয়ান আব্রামসসহ নিজেদের ট্যাংক পাঠাতে প্রস্তুত নয়।