রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ঘোষণার ছয় দিনের মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে মার্কিনিদের এ বিপজ্জনক বোমা।
তাভরিয়া মিলিটারি কমান্ড ইন সাউদার্ন ইউক্রেন এর মুখপাত্র ভালেরি শেরশেন বলেন, ক্লাস্টার বোমাগুলো সবে মাত্র ইউক্রেনে পৌঁছেছে।
ইউক্রেন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ক্লাস্টার বোমাগুলো ‘এখন আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে’। দেশটি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৮০০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে অস্ত্রগুলো এসেছে। পেন্টাগনও তাদের আগমনের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনকে এই গুচ্ছ বোমা দেওয়ার নিন্দা করেছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেছিলেন, মস্কো এই ধরনের বোমার সম্মুখীন হলে একই ধরনের অস্ত্র তারাও ব্যবহার করতে পারে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া বিশাল অংশ দখল করে নেওয়ার কারণে এই বোমার ব্যবহার যুক্তিযুক্ত।
ইউক্রেনের তাভরিয়া মিলিটারি কমান্ড ইন সাউদার্ন ইউক্রেন এর মুখপাত্র ভালেরি শেরশেন মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও লিবার্টিকে বলেছেন, ‘এটি রাশিয়ার দখলদার বাহিনীকে আরো দুর্বল করবে এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে জিনিসগুলো মৌলিকভাবে পরিবর্তন করবে।’ তিনি আরো যোগ করেছেন, ‘যুদ্ধাস্ত্রগুলো কঠোরভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে ব্যবহার করা হবে, শুধুমাত্র আমাদের অঞ্চল দখলের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হবে না, এগুলো কেবলমাত্র এমন এলাকায় ব্যবহার করা হবে, যেখানে শত্রুর প্রতিরক্ষা ভেদ করার জন্য রাশিয়ান সামরিক বাহিনী জড় হবে।’
ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ছোট বোমা ফেলে দেয় বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে। ফলে এটি নির্বিচারে হত্যা চালাতে পারে।
এদিকে ইউক্রেনকে গুচ্ছ অস্ত্র সরবরাহের মার্কিন সিদ্ধান্তের স্পেন এবং কানাডা বিরোধিতা করেছে। বেশ কিছু মার্কিন গণতান্ত্রিক আইনপ্রণেতারাও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।