পাল্টা আক্রমণ নিয়ে খুলছেন ইউক্রেনের মিত্ররা। এ বিষয়ে সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পিত পাল্টা আক্রমণ কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছে। তবে কোন অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে, বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।
প্যারিসে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ওলাফ শলৎজ এবং পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদার সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তারা। এ সময় ইউক্রেনের সামরিক নেতাদের কৌশলগত দিকের প্রশংসা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কির মিত্র ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস আগে থেকেই।’
গত মাসে ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানের পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য তার দেশের দরজা খোলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার হামলার পর দ্বিতীয় দফায় প্যারিস সফর করেন জেলেনস্কি। সফরের পরদিন তিনি এ কথা বলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ফ্রান্সও এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কিয়েভকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়েছে ম্যাক্রোঁ সরকার।
পাল্টা আক্রমণ শুরু হওয়ায় কিয়েভের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে দিক থেকে প্রতীক্ষিত আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভের সেনারা। গত এক সপ্তাহে ডনেস্কের সাতটি গ্রাম পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে। অঞ্চলটিতে তীব্র লড়াই চলছে।