রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে এ কথা জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসে সোমবার সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, তাঁর প্রশাসন ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে কিনা? জবাবে বাইডেন বলেন, না। বাইডেন আরও বলেন, আমি পোল্যান্ড সফরে যাব।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ জানান, কিয়েভকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়টি তাঁর দেশ বিবেচনা করছে না।
ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রতিরোধের বিপরীতে ‘মহাপ্রতিশোধ’ নেওয়া শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রুশ সেনারা এগিয়ে যাচ্ছে- রাশিয়ার এমন দাবির পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এলো।
জেলেনস্কি বলেন, পূর্বাঞ্চলে রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনীয় সেনারা অবিচল রয়েছে এবং রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় তিনি রুশ সেনাদের রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের সাফল্যের কথাও স্মরণ করেন।
আমি মনে করি, রাশিয়া সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে এখন। তারা এই কাজটি এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে। প্রতিদিনই রাশিয়া কোনো না কোনোভাবে নিয়মিত যুদ্ধের ময়দানে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে আর নয়তো ওয়েগনারের ভাড়াটে যোদ্ধাদের নামাচ্ছে।
অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ সোমবার বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া আর কখনও ইউক্রেনের অংশ হবে না। পশ্চিমাদের ইউক্রেনীয় নীতির কট্টর সমালোচক বলে পরিচিত এই রাষ্ট্রপ্রধান কিয়েভকে সামরিক সহযোগিতা প্রদানে আপত্তির বিস্তারিতও তুলে ধরেছেন।
ইউক্রেনের ‘জরুরি চাহিদা’ মেটাতে দেশটিকে কয়েক হাজার গোলাবারুদ দেবে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। এজন্য দুই দেশ যৌথভাবে কয়েক হাজার ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি শেল তৈরি করবে। এর পর সেগুলো কিয়েভে পাঠানো হবে।