বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল আয়ারল্যান্ড। ব্যাটারদের তাণ্ডবের পর তাসকিন-হাসানদের দাপটে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ জয় তুলে নিল ২২ রানের ব্যাবধানে। যদিও আইরিশদের ঝড়ো ব্যাটিং শুরুতে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৮ ওভারে ১০৪ রান। নাসুমকে দিয়ে বোলিং উদ্বোধন করায় বাংলাদেশ। চার বাউন্ডারিতে প্রথম ওভারেই আইরিশরা তোলে ১৮ রান। পরের ওভারে ১৪ রান দেন মুস্তাফিজ। তৃতীয় ওভারে এসে চতুর্থ বলেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। তার অসাধারণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান ১০ বলে ১৩ রান করা রস অ্যাডায়ার। চতুর্থ ওভার করতে এসে প্রথম বলেই তিনে নামা লরকান টাকারকে (১) বোল্ড করে দেন তাসকিন। একই ওভারের চতুর্থ বলে স্টাম্প উড়ে যায় ৮ বলে ১৮ রান করা স্টার্লিংয়ের। পরের বলে ক্যাচ দেন ডকরেল (০)। শেষ বলটি বাউন্ডারি হওয়ায় তাসকিনের হ্যাটট্রিক হয়নি।
শেষ তিন ওভারে দরকার হয় ৪৪ রানের। ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব। এক বাউন্ডারি সহ দেন মাত্র ৫ রান। ৭ম ওভারে মুস্তাফিজ ৭ রান দিলে শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ৩২ রানের। শেষ ওভার করতে এসে ফের প্রথম বলেই উইকেট নেন তাসকিন। ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ১২ বলে ১৯ রান করা হ্যারি টেক্টর। আইরিশরা থঅমে ৫ উইকেটে ৮১ রানে। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। ২ ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। যা তার ক্যারিয়ারসেরা। হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ২০ রানে ১টি।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ইনিংসের ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তোলে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং রনি তালুকদার দলকে বিধ্বংসী শুরু এনে দেন। ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪৭ রান করা লিটন দাসের বিদায়ে ৭.১ ওভারে ৯১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এর পরপরই ২৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন রনি তালুকদার। নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন বিধ্বংসী মুডে। তবে ১৩ বলে ১৪ রানেই স্টাম্পড হয়ে যান হ্যারি টেক্টরকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে।
প্রথম ১০ ওভারেই আসে ১১৬ রান। রনির ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল তিনি সেঞ্চুরিও করে ফেলতে পারেন। তবে গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হয়ে থামে তার ৩৮ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস। চারে নেমে শামীম পাটোয়ারী ২০ বলে ৩০ রান করেন ২ ছক্কা ১ চারে। তৌহিদ হৃদয় ৮ বলে ১ ছক্কায় করেন ১৩ রান। ১৯.২ ওভারে দলের স্কোর যখন ৫ উইকেটে ২০৭ রান, তখন নেমে আসে বৃষ্টি। খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এই স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের। মিরাজ ১ বলে ৪* এবং সাকিব ১৩ বলে ৩ চারে ২০* রানে অপরাজিত থাকেন। ক্রেইগ ইয়ং নিয়েছেন ২ উইকেট।