বলিপাড়ায় নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ প্রতি মুহূর্তে বদলায়। বলিপাড়ায় কান পাতলে এমন অনেক প্রেমের সম্পর্কের কথাই শোনা যায়। ঠিক যেমনটা শোনা গিয়েছিল অভিনেত্রী আসিন থোত্তুমকল এবং অভিনেতা নীল নিতিন মুকেশের ক্ষেত্রে।
তামিল, তেলুগু ছবির দুনিয়া কাঁপিয়েছিলেন আসিন। পা রেখেছিলেন হিন্দি ছবির দুনিয়ায়। আমির খানের সঙ্গে ‘গজনি’, সলমন খানের সঙ্গে ‘রেডি’, অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘হাউসফুল ২’, ‘খিলাড়ি ৭৮৬’-এর মতো সুপারহিট ছবিতে দেখা গিয়েছে আসিনকে।
বলিপাড়ায় যখন চুটিয়ে কাজ করছেন আসিন, সেই সময় অভিনেতা নীল নিতিন মুকেশের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি।
নীল নিতিনের সঙ্গে আসিনের প্রেমের কাহিনি আলোচিত হয়েছিল বি-টাউনে। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। শোনা গিয়েছিল, সলমনের কারণেই নাকি নীলের সঙ্গে সম্পর্কে দাঁড়ি টানেন আসিন। ঠিক কী হয়েছিল?
২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘রেডি’। এই ছবিতে সলমনের নায়িকা ছিলেন আসিন। বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল সলমনের এই ছবি।
শোনা যায়, ‘রেডি’র সাফল্যের পর থেকেই নাকি সলমনের নেকনজরে পড়েছিলেন আসিন। সলমনের সঙ্গে আসিনের ঘনিষ্ঠতাও বেড়েছিল।
সেই সময় নীল নিতিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন আসিন। আবার সলমনের সঙ্গে নায়িকার ঘনিষ্ঠতার খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল। এমনও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে, আসিন এবং সলমনের মধ্যে নাকি প্রেম চলছে। তবে তাতে সিলমোহর পড়েনি।
সলমনের সঙ্গে আসিনের এ হেন ‘ঘনিষ্ঠতা’ একেবারেই পছন্দ করেননি নীল। এ কথা আসিনকে নাকি জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
বাড়িতে বিভিন্ন সময় পার্টির আয়োজন করতেন সলমন। সেই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হত আসিনকে। সেই মতো ‘ভাইজানের’ বাড়িতে যেতেন আসিন। কিন্তু তা পছন্দ করতেন না নীল।
শোনা যায়, এই কারণে আসিনের সঙ্গে মতানৈক্য বাধে নীলের। সলমনের সঙ্গে মেলামেশা করতে আসিনকে বারণ করেন অভিনেতা।
নীলের এই আপত্তি একেবারেই ভাল ভাবে নেননি আসিন। এই নিয়ে নীলের কোনও আপত্তিই শুনতে চাননি নায়িকা। যার জেরে দু’জনের সম্পর্কে শৈত্য আসে।
এর পর থেকেই নীল এবং আসিনের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। শোনা গিয়েছিল, মোবাইলে মেসেজ করে সম্পর্ক শেষের কথা অভিনেতাকে জানিয়েছিলেন আসিন।
নীল নিতিনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জীবনে থিতু হতে চেয়েছিলেন আসিন। সংসার করতে চেয়েছিলেন। এই জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তিনি। এ কথা অক্ষয় কুমারকে এক বার জানিয়েছিলেন নায়িকা।