বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচএ) বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে আল-শিফা হাসপাতালের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার কোনো খোঁজখবর তারা পাচ্ছে না। সেখানে আটকে পড়া মানুষদের নিয়েও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। খবর আল-জাজিরার
এদিকে চারপাশে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিদ্যুৎ, পানি ও অক্সিজেন না থাকায় এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতালটি। সেখানে নিও-নেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে-এনআইসিইউতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ৩৯ থেকে ৪৫টি। এরমধ্যে শনিবার দুই শিশু মারা গেছে। বাকিরা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় শনিবার আল শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, স্বাস্থ্যকর্মী, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুরাসহ শত শত অসুস্থ ও আহত রোগী এবং হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে। শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গেব্রেয়াসুস এ কথা বলেছেন।