দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরোধের পর অবশেষে রেললাইন থেকে সরে গেলেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। রেল ভবনে দাবির বিষয়ে কর্মকর্তাদের আলোচনার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কারওয়ান বাজার সংলগ্ন এফডিসি রেল ক্রসিং থেকে অবরোধ তুলে রেল ভবনের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা দেন আন্দোলনকারীরা।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদৎ আলী বলেন, বিকেল পৌনে ৩ টা পর্যন্ত মোট ২৬ টি ট্রেন আটকে ছিল। কমলাপুর থেকে এখন পর্যন্ত ৩ টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। একতা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস স্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও কমলাপুর স্টেশনে এখনও ৫ টি ট্রেন আটকে আছে। এছাড়া তেজগাঁও স্টেশনে ২টি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ৩টি, বিমানবন্দর স্টেশনে ৪টি, টঙ্গী স্টেশনে ৪টি এবং পূবালী থেকে ভাওয়াল পর্যন্ত ৬ টি ট্রেন আটকে আছে।
যাত্রীরা বলছেন, বেলা সাড়ে ১১ টার অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এখনও ছাড়েনি। এছাড়া বেলা সোয়া ১টার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, দুপুর পৌনে ১ টার চট্টলা এক্সপ্রেসও ছাড়েনি। কখন ছাড়বে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এ সময় তিতাস কমিউটার ট্রেন আটকে দেন তারা। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টায়ও আন্দোরনকারীরা না সরলে ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে ফেরত যেতে বাধ্য হয়।
মূলত বাংলাদেশে রেলেওয়ের নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাস বহাল রাখার দাবিতে ট্রেন আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।