রবিবার কাকভোরে মুম্বইয়ের বিমানবন্দরে নামলেন আলিয়া ভট্ট। এত দিনের কাজের ধকলের পর বিনিদ্র, ক্লান্ত চেহারা। ও দিকে স্বামী রণবীর কপূরের চোখেও যে ঘুম নেই! স্ত্রীকে নিতে এসেছিলেন না বলেই। গাড়িতে উঠে স্বামীকে দেখে উচ্ছ্বসিত কিশোরীর মতো তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন আলিয়া! এখন আর কাজ নয়। শুধু বিশ্রাম। আর নতুন অতিথির প্রতীক্ষা।
আলিয়া আপাতত আর কোনও ছবির চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন না। তবে রণবীর জানান, সন্তানের মা হবেন বলে আলিয়ার স্বপ্নগুলো চুরমার হয়ে যাক, এমনটা তিনি চান না। ভারসাম্য রেখে জীবনে সব কিছুই করা যায় বলে তাঁর বিশ্বাস।
ঋষি কপূরের একমাত্র ছেলের কণ্ঠে ভরসার আভাস। বললেন, ‘‘আগের প্রজন্মে মায়েদের উপরেই থাকত সন্তানের সমস্ত ভার। বাবারা কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এখন সময় বদলেছে। আমি ভাল বাবা হতে চাই। সন্তানের কাছাকাছি থেকে তাকে সঙ্গ দিতে চাই। বাবা-মা হিসাবে আমরা দায়িত্ব ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’’ এতে আলিয়ারও কিছুটা সুবিধা হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
গত এপ্রিলেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ‘রণলিয়া’। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে নতুন জীবন। বিয়ের পরেই দু’জনে দুই শহরে কাটিয়ে দিলেন তিন মাস। তার মধ্যে সন্তান আগমনের সুখবরটুকু একসঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কেবল। তবে এত কিছুর মধ্যে এ-ও স্পষ্ট যে, তাঁদের পরিকল্পনা এবং বোঝাপড়া ছিল অনেক গভীরে।
রণবীর বলেন, ‘‘মা হওয়ার পরেও আলিয়াকে তার কেরিয়ারে মন দিতে হবে। ও খুবই গুণী এবং বড় তারকা। আমি চাই না, সন্তান মানুষ করতে গিয়ে ও নিজের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিক। এক একটা দিন এক একটা ধাপ। সেগুলো আমরা একসঙ্গে উতরে যাব বলেই বিশ্বাস রাখি।’’
হলিউড নিজের প্রথম ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর কাজ শেষ করে সপ্তাহান্তে ইউরোপ থেকে ফিরেছেন আলিয়া। অন্য দিকে ‘সমশেরা’ মুক্তির অপেক্ষায় রণবীর। আসছে বিয়ের পর জুটিতে তাঁদের প্রথম ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ও। তবে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কপূর’ এখন বিশ্রামের মেজাজে।